ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

শান্তির প্রতীক শেখ হাসিনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্যাতন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সার্বিক সহায়তাসহ মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করায় শেখ হাসিনাকে মানবতার প্রতীক হিসেবে মনে করছেন বিশ্ব নেতারা।

রোহিঙ্গাদের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাঁড়ানোর অবদানের কথা উলেস্নখ করে ‘অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অব পিস স্টাডিজ’ (অক্সপিসের) দুজন শিক্ষাবিদ ড. লিজ কারমাইকেল এবং ড. অ্যান্ডরু গোসলার মনে করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন তা সারাবিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় বার্তা। এরা দুজনই শেখ হাসিনাকে ‘মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস স্ট্যাডিজ বিভাগের তিন অধ্যাপক ড. অলডো সিভিকো, ড. দীপালী মুখোপাধ্যায় এবং ড. জুডিথ ম্যাটলফ যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

পিস অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ড. হেনরিক উরডাল মনে করেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকেই বিশ্ব শান্তির নেতার মর্যাদা দেয়া উচিত। সত্যিকার অর্থেই যদি শান্তিতে অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার থাকে তাহলে সে পুরস্কার পাওয়ার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হলেন শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ২৫ বছরের সমস্যার সমাধান করে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনেন শান্তির কন্যা শেখ হাসিনা। এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাকে ‘হফোয়েট- বোজনি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। তলাবিহীন ঝুড়িকে তিনি খাদ্যে পরিপূর্ণ করেন।

খাদ্যসংকট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অন্যতম একটি বড় সমস্যা। এক সময় উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় মঙ্গার খুব প্রভাব ছিল। দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিচক্ষণ পদক্ষেপে আর সঠিক তত্ত্বাবধানে উত্তরবঙ্গের সেই মঙ্গা দূর করে খাদ্য ভান্ডারের অঞ্চলে পরিণত করেছেন। কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। বাংলার কৃষক, সাধারণ মানুষ কেউ আজ না খেয়ে থাকে না। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ঋঅঙ) কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন শেখ হাসিনা।

২০০৫ সালের জুন মাসে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য ‘পিপলস ফ্রেন্ডসশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া’ শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্বখ্যাত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক ২০০৯’-এ ভূষিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বার্কো দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অনবদ্ধ অবদানের জন্য ‘গেস্নাবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন।

শেখ হাসিনার চিন্তাতে মানবকল্যাণ, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা, নেতৃত্বে দূরদৃষ্টি, গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তার সেই নিরলস সাধনা ও প্রচেষ্টাকে সম্মান দেখিয়ে ত্রিপুরার সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি সম্মানসূচক ‘ডি-লিট’ ডিগ্রি প্রদান করে শেখ হাসিনাকে।

২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সভায় ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে শেখ হাসিনার দেয়া ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এবং ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব পাস হয়। কারও সঙ্গে বিরোধ না করেও বিভিন্নভাবে আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান করা যায় তারই বাস্তব মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়, পরবর্তীতে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্তের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি। সব কিছুই সম্ভব হয়েছে শান্তির জাদুকর দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতায়।

নারী ও কন্যাশিশুদের সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো ‘শান্তি বৃক্ষ (ট্রি অব পিস)’ স্মারক প্রদান করে শেখ হাসিনাকে।

জীবনের সব হারিয়ে যিনি মানুষের জন্য শান্তি খোঁজেন সমাজের মধ্যে, রাষ্ট্রের মধ্যে, বিশ্বের মধ্যে তিনি হলেন বঙ্গকন্যা, মুজিবকন্যা, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত দেশরত্ন শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে, মানবতার কল্যাণে, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার হাতেই বিশ্বশান্তির পতাকা শোভা পায়।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শান্তির পক্ষে এবং সর্বপ্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবিলায় তার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আঞ্চলিক ফোরাম’ গঠনের প্রস্তাব এ অঞ্চলের দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিসেনা প্রেরণকারী দেশ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ দেশের শান্তিসেনারা আফ্রিকাসহ বিশ্বের জাতিগত সংঘাত-সংঘর্ষ কবলিত দেশগুলোয় শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও অশিক্ষা দূরীকরণ, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, বিরোধ মীমাংসায় সশস্ত্রপন্থা পরিহার, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বা জাতিগত সংঘাতসহ যে কোনো বিরোধ মীমাংসা ইত্যাদি সুপারিশসহ শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জাতিসংঘে এক শান্তির মডেল পেশ করেছিলেন, যা সাধারণ পরিষদে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়।

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে ঈর্ষণীয় সাফল্য-অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এর মূল কৃতিত্ব শেখ হাসিনার নেতৃত্বের।

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের সীমানায় আবদ্ধ না থেকে তা আজ বিশ্বসভায় উন্নীত ও যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বীকৃত। শান্তি, উন্নয়ন, সহাবস্থান, বৈষম্য দূর ও মানবাধিকারের পক্ষে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কী অভ্যন্তরীণ কী বৈদেশিক উভয়ক্ষেত্রে তার নেতৃত্বের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। সবদিক বিবেচনা করলে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিশ্বশান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনার হাতেই মানায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

শান্তির প্রতীক শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম : ০৭:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্যাতন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সার্বিক সহায়তাসহ মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করায় শেখ হাসিনাকে মানবতার প্রতীক হিসেবে মনে করছেন বিশ্ব নেতারা।

রোহিঙ্গাদের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাঁড়ানোর অবদানের কথা উলেস্নখ করে ‘অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অব পিস স্টাডিজ’ (অক্সপিসের) দুজন শিক্ষাবিদ ড. লিজ কারমাইকেল এবং ড. অ্যান্ডরু গোসলার মনে করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন তা সারাবিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় বার্তা। এরা দুজনই শেখ হাসিনাকে ‘মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস স্ট্যাডিজ বিভাগের তিন অধ্যাপক ড. অলডো সিভিকো, ড. দীপালী মুখোপাধ্যায় এবং ড. জুডিথ ম্যাটলফ যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

পিস অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ড. হেনরিক উরডাল মনে করেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকেই বিশ্ব শান্তির নেতার মর্যাদা দেয়া উচিত। সত্যিকার অর্থেই যদি শান্তিতে অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার থাকে তাহলে সে পুরস্কার পাওয়ার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হলেন শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ২৫ বছরের সমস্যার সমাধান করে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনেন শান্তির কন্যা শেখ হাসিনা। এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাকে ‘হফোয়েট- বোজনি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। তলাবিহীন ঝুড়িকে তিনি খাদ্যে পরিপূর্ণ করেন।

খাদ্যসংকট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অন্যতম একটি বড় সমস্যা। এক সময় উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় মঙ্গার খুব প্রভাব ছিল। দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিচক্ষণ পদক্ষেপে আর সঠিক তত্ত্বাবধানে উত্তরবঙ্গের সেই মঙ্গা দূর করে খাদ্য ভান্ডারের অঞ্চলে পরিণত করেছেন। কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। বাংলার কৃষক, সাধারণ মানুষ কেউ আজ না খেয়ে থাকে না। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ঋঅঙ) কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন শেখ হাসিনা।

২০০৫ সালের জুন মাসে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য ‘পিপলস ফ্রেন্ডসশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া’ শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্বখ্যাত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক ২০০৯’-এ ভূষিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বার্কো দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অনবদ্ধ অবদানের জন্য ‘গেস্নাবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন।

শেখ হাসিনার চিন্তাতে মানবকল্যাণ, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা, নেতৃত্বে দূরদৃষ্টি, গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তার সেই নিরলস সাধনা ও প্রচেষ্টাকে সম্মান দেখিয়ে ত্রিপুরার সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি সম্মানসূচক ‘ডি-লিট’ ডিগ্রি প্রদান করে শেখ হাসিনাকে।

২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সভায় ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে শেখ হাসিনার দেয়া ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এবং ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব পাস হয়। কারও সঙ্গে বিরোধ না করেও বিভিন্নভাবে আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান করা যায় তারই বাস্তব মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়, পরবর্তীতে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্তের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি। সব কিছুই সম্ভব হয়েছে শান্তির জাদুকর দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতায়।

নারী ও কন্যাশিশুদের সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো ‘শান্তি বৃক্ষ (ট্রি অব পিস)’ স্মারক প্রদান করে শেখ হাসিনাকে।

জীবনের সব হারিয়ে যিনি মানুষের জন্য শান্তি খোঁজেন সমাজের মধ্যে, রাষ্ট্রের মধ্যে, বিশ্বের মধ্যে তিনি হলেন বঙ্গকন্যা, মুজিবকন্যা, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত দেশরত্ন শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে, মানবতার কল্যাণে, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার হাতেই বিশ্বশান্তির পতাকা শোভা পায়।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শান্তির পক্ষে এবং সর্বপ্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবিলায় তার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আঞ্চলিক ফোরাম’ গঠনের প্রস্তাব এ অঞ্চলের দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিসেনা প্রেরণকারী দেশ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ দেশের শান্তিসেনারা আফ্রিকাসহ বিশ্বের জাতিগত সংঘাত-সংঘর্ষ কবলিত দেশগুলোয় শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও অশিক্ষা দূরীকরণ, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, বিরোধ মীমাংসায় সশস্ত্রপন্থা পরিহার, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বা জাতিগত সংঘাতসহ যে কোনো বিরোধ মীমাংসা ইত্যাদি সুপারিশসহ শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জাতিসংঘে এক শান্তির মডেল পেশ করেছিলেন, যা সাধারণ পরিষদে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়।

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে ঈর্ষণীয় সাফল্য-অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এর মূল কৃতিত্ব শেখ হাসিনার নেতৃত্বের।

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের সীমানায় আবদ্ধ না থেকে তা আজ বিশ্বসভায় উন্নীত ও যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বীকৃত। শান্তি, উন্নয়ন, সহাবস্থান, বৈষম্য দূর ও মানবাধিকারের পক্ষে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কী অভ্যন্তরীণ কী বৈদেশিক উভয়ক্ষেত্রে তার নেতৃত্বের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। সবদিক বিবেচনা করলে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিশ্বশান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনার হাতেই মানায়।